মধ্যবয়সীর লালসার শিকার, পাঁচমাসের গর্ভবতী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০১৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামে মধ্যবয়সী সামসুল আলম ওরফে সামসুল কসাইয়ের লালসার শিকার হয়ে পাঁচমাসের গর্ভবতী ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে ‘ধর্ষক’ সামসুল জোর করে গর্ভপাত ঘটিয়ে মৃত্যু শয্যায় ফেলে দিয়েছে শিশু ছাত্রীকে। এ ঘটনায় সামসুলের শাস্তি দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
ঘটনার শিকার ছাত্রীর পরিবারের দেয়া তথ্যমতে, মাস পাঁচেক আগে সামসুল কসাইয়ের বাড়িতে তার মেয়ের সহপাঠী প্রতিবেশী দিনমজুরের মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে যায় ও ছাত্রী। এসময় বাড়িতে একা পেয়ে ছাত্রীর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে সামসুল কসাই। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর কয়েক মাস যাওয়ার পর ছাত্রীটির শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আঁচ করতে পারে পরিবারের লোকজন। অবস্থা বেগতিক দেখে গেল বুধবার অভিযুক্ত সামসুল ছাত্রীকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।
ঘটনা জানলেও প্রভাবশালী সামসুলের হুমকিতে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিল না পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে শুক্রবার বিকেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। এতে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সন্ধ্যার দিকে গ্রামবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তার বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
ছাত্রীর মামা জানান, সর্বনাশ যা হবার তাই হয়েছে। তারপরেও তারা সুবিচারের জন্য মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। কারো কাছে মুখ খুললে গোটা পরিবারের লোকজনকেই হত্যার হুমিক দিয়েছেন প্রভাবশালী সামসুল। এতে তারা ভীত সন্তস্ত্র হয়ে পড়েছেন। মেয়ের সর্বনাশে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন তার বাবামা। দরিদ্র বাবার পক্ষে তার সুচিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, প্রভাবশালী সামসুলের অব্যাহত হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ছাত্রীর স্বজনরা। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করিয়েছেন গাংনীর নারীনেত্রী নুরজাহান বেগম।
জানতে চাইলে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
. . . . . . . . .