রাতের আঁধারে ক্যাম্পাসে প্রেম, বাধা দেয়ায় উত্তম-মাধ্যম

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৫, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রাতে দুই গার্মেন্টসকর্মীকে প্রেম করতে বাধা দেয়ায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে কর্তব্যরত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আনসার সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্ররা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের গেটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই আনসার সদস্যরা হলেন- জামাল উদ্দিন (৪০) ও জহুরুল ইসলাম (৩৫)। তাদের শরীরের বিভন্ন জায়গায় ও মুখে গুরুতর আঘাতের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তব্যরত চিকিৎসক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে গার্মেন্টসকর্মী মো. কনক মিয়াকে (২৪) এক তরুণীসহ আপত্তিকর অবস্থায় রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে আটক করেন দায়িত্বরত আনসার সদস্য জামাল ও জহুরুল। পরে আনসাররা মেয়েটিকে আলাদা করে ক্যাম্পাস থেকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেন। তখন গার্মেন্টসকর্মী মো. কনক মিয়া তার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ-আল-মামুনকে (৪১তম আবর্তন, দর্শন বিভাগ) ফোন করেন। পরে মামুনের নেতৃতে তার বন্ধু একই বিভাগের আছাদ আলভী, পিকুল ইসলামসহ আরো ৪/৫ জন এসে ওই আনসারদের খুঁজে বের করে বেধড়ক মারধর করেন।
এ সম্পর্কে গার্মেন্টসকর্মী মো. কনক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আটক করার পর আনসাররা আমার ও আমার বান্ধবীকে আলাদা করে নেয়। আমার কাছে থাকা ফোন ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নেয়। বান্ধবীকে খুঁজে না পাওয়ার কারণে বন্ধুকে অন্য আরেকজনের ফোন দিয়ে ফোন করি। পরে বন্ধুরা এসে আনসারদের উপর আক্রমণ চালায়।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘বন্ধুর কাছ থেকে শুনেই আমরা না বুঝে আক্রমণ করেছি। আমাদের ভুল হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের ছাত্রদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে অভিযোগ আনা হবে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
. . . . . . . . .