এমপি লিটনের শ্বশুর জামায়াত কর্মী, স্ত্রী ছাত্রদল করতেন!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৫, ৮:২৩ পূর্বাহ্ণগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার সরকার দলীয় বিতর্কিত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করতেন। শুধু তাই নয়, এমপির শ্বশুর ও শ্যালকরা জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে এখনো সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমপি লিটনের স্ত্রী এবং তার এপিএস সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি ছাত্রজীবনে বগুড়া আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বিয়ের পর রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি আওয়ামী লীগার হয়ে যান। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলু, সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুল ইসলাম চঞ্চল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোলাম কবির মুকুল ও নাগরিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বীরেন সরকার জানান, লিটনের শ্বশুর ও স্মৃতির বাবা মোশাররফ হোসেন বাদশা মিয়া ও তার বড় ভাই মৃত তোজাম্মেল হক ছিলেন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী; কিন্তু জামাতা এমপি হওয়ার পর এখন বাদশা মিয়া গোপনে জামায়াতের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তারা আরো জানান, স্মৃতির জেঠা মৃত তোজাম্মেল হকের ছেলে সেলিম মিয়া, জেলানি মিয়া ও মিরান মিয়া জামায়াতের সক্রিয় ক্যাডার থেকে বর্তমানে এমপি লিটনের সক্রিয় কর্মীতে পরিণত হয়েছেন। ইতিপূর্বে তারা চাঁদা না দেয়ায় শিবরাম স্কুলে হামলা চালানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন; কিন্তু দুলাভাই এমপি হওয়ার কারণে তারা এখন বোন স্মৃতির নির্দেশ ও অপকর্ম বাস্তবায়নের সক্রিয় ক্যাডারে পরিণত হয়েছেন। তাদের নানা অপকর্ম সুন্দরগঞ্জের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্থানীয় লোকজন শুধু এমপি লিটনের অপকর্মেই অতিষ্ঠ নয়, বরং তার স্ত্রী ও শ্যালকদের কাছেও জিম্মি। স্মৃতির আপন বড় ভাই বাদল ছিলেন জামায়াতের সক্রিয় ক্যাডার। অপর ভাই সোহাগ ও তারিকুল ইসলামও জামায়াতের ক্যাডার। গ্রামের সহজ সরল মানুষ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমির দলিল করতে এলে দলিল প্রতি ৪শ টাকা করে এমপি লিটনের শ্যালকদের চাঁদা দিতে হয় বলেও তারা অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে এমপি লিটন মাতাল অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৯ বছরের শিশু সৌরভকে গুলি করেন। এ ঘটনায় এমপিকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন সৌরভের বাবা সাজু মিয়া। ইতিমধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমপির দুইটি অস্ত্র জব্দ করে এর লাইসেন্স বাতিল করেন; কিন্তু ঘটনার ৫ দিন পরও এমপিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। -বিডিটুডে
. . . . . . . . .