ভারতে গ্রেপ্তার ‘চুমু বাবা’

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০১৫, ৮:৪১ পূর্বাহ্ণভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কডাপ্পা জেলায় ‘চুমু বাবা’ বলে পরিচিত এক গুরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে কডাপ্পা জেলার আয়াপ্পা মন্দিরের পেছনে একটি ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে সুভাষ রেড্ডি নামে তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মন্দিরের পেছনের ওই ঘরে বসেই তিনি ভক্তদের জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে আশীর্বাদ করতেন।
শুক্রবার চুমু বাবাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রেখে মানসিক চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করেছেন।
পুলিশ জানায়, ভক্তদের যেকোনো সমস্যায় চুমু বাবাকে ভক্তদের পাশে পাওয়া যেত। কোনো রোগ বা অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে কোনো নারী তাঁর কাছে গেলে তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিতেন। আর এই চুমুতেই সেই রোগ বা সমস্যার সমাধান হবে বলে দাবি করতেন তিনি। কিন্তু পুরুষদের বেলায় ছিল তাঁর ভিন্ন পদ্ধতি। নারীদের জড়িয়ে ধরে চুমু দিলেও পুরুষদের সমস্যায় শুধু একটি লেবু দিয়েই তাঁদের বিদায় করে দিতেন। আর তাঁর এসব কাজের প্রচার করতেন সুভাষ রেড্ডি। চুমু বাবার এই ভণ্ডামি নিয়ে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করার পর একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নারী ভক্তদের জড়িয়ে ধরা ও চুমু দেওয়ার দৃশ্য প্রচার করা হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড চুমু বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুই বছর ধরে বাবা নির্বিঘ্নে চালাচ্ছিলেন চুমুর কারবার। রাতারাতি চুমুর দৌলতে বেশ নামও কামিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আখড়ায় নারীভক্ত এলেই তিনি সমস্যা দূর করতে তাঁকে চুমু দিতেন বেশ খানিকক্ষণ ধরে। তার পরেই নাকি সমস্যা দূর হয়ে যেত সেস রোগীর।
তবে পুরুষভক্ত এলেই তিনি আর চুমুর ধারকাছ দিয়ে মাড়াতেন না। উল্টে পুরুষভক্তদের হাতে ধরিয়ে দিতেন আস্ত একটা লেবু। আর এতেই সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে অনেকের। শেষ পর্যন্ত এক ভক্ত মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও তুলেই সর্বনাশ ঘটিয়েছেন চুমু বাবার কারবারে।
ভিডিও লিংক : ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন——
. . . . . . . . .