নগরীর শিবগঞ্জে শিশু ধর্ষণ!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০১৫, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণমনসুফা বিশ্বনাথ উপজেলার মাদানিয়া কাউনিয়া মহিলা মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স প্রায় দশের কাছাকাছি। পারিবারিক শত অভাব অনটনের মধ্যেও থেমে নেই তার পড়াশোনা। ঈদের ছুটি কাটাতেই সে বাবার সাথে শিবগঞ্জের ঠাকুর পাড়ায় আসে। সোমবার ফজর হওয়ার পূর্বে মনসুফার বাবা হেকিম আলী অন্যদিনের মতো তাকে ঘরে একা রেখে জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য স্থানীয় মসজিদে চলে যান।
এরই ফাঁকে পূর্ব থেকেই ওতপেতে থাকা নরপশু জসীম(৩০) হেকিম আলীর ঘরের পিছনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। মনসুফার ঘুমের মধ্যেই তার মুখ চেপে ধরে তার শ্লীলাহানির চেষ্টা চালায়। ভয়ে শিশু মনসুফার সমস্ত শরীর হিম হয়ে আসে। সে করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে কিন্তু নরপশু জসীম তাতে ক্ষান্ত হয়নি। দস্তাদস্তির একফাঁকে মনসুফার জামা ছিঁড়ে ফেলে জোর করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
মনসুফা জোরে চিৎকার করলে জসীম ভয় পেয়ে যায়। আশেপাশে অনেকেই ছুটে আসতে পারে এই ভেবে জসীম পিছনের কাটা বেড়ার ভেতর দিয়ে দ্রুত পলায়নের চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য ময়মনসিংহের বাসিন্দা ময়না মিয়ার ছেলে জসীম পেশায় সুইপার। অধিকাংশ সময়ই সে মাদক সেবন করে মহল্লায় মাতলামি করে থাকে। ঠাকুর পাড়ার একাধিক সূত্র জানায়, জসীমসহ আরও কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকদের মাদক ও অন্যান্য অবৈধ কর্মের ইন্দনের নেপথ্যে একই পাড়ার বাবুল মিয়ার সরাসরি হাত রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী মুর্শিদার মামালায় সদ্য বের হওয়া বাবুল মিয়া ঠাকুরপাড়ার চিহ্নিত ত্রাস ও মাদক সম্রাট বলে সমধিক পরিচিত। থানাতে বাবুল মিয়ার নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়। মনসুফার চিৎকারে আশেপাশের অনেকেই ছুটে আসলেও বাবুলের ভয়ে কেউই মুখ খোলতে নারাজ। বাবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী ঘটনাটি জেনেও তা অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু হেকিম আলীর বাসার মালিক সুফিয়া- মনসুফা বেগমের ধর্ষণের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে বাসার মালিক সত্য ঘটনা খুলে বললেও মেয়ে বা তার বাবা হেকিম আলী তার কাছে কোন প্রকার বিচার চায়নি। বিষয়টির সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন-আগামীকাল দুইপক্ষকে নিয়েই বসা হবে। তবে এরই সাথে তিনি নরপশু জসীম কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য বলেও এক পর্যায়ে স্বীকার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন প্রকার মামালা দায়ের করা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে ধর্ষিতার বাবা হেকিম আলী জানান। সূত্র : এক্সপ্রেস টাইম২৪.কম
. . . . . . . . .