নিঠুর প্রিয়া, প্রেমের মূল্য ৫ লাখ টাকা

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ণপ্রেমের ফাঁদে ফেলে ‘প্রেমিককে’ অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে কক্সাবাজার থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ‘প্রেমিকাকে’ গ্রেপ্তার করতে না পারলেও এ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত খোলশেদুল আলমকেও।
গ্রেপ্তার দু’জন হল- কক্সবাজারের বাসিন্দা মামুন রশীদ (৪০) ও মোস্তাক আহম্মদ (৫০)।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম-বন্দর) এস এম তানভীর আরাফাত বাংলামেইলক জানান, নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোডের আহম্মদ শফি’র ছেলে অপহৃত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদুল আলম (৩২) অরিন আক্তার নামের একটি মেয়ের সাথে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সূত্রে ৪/৫ দিন আগে থেকে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতে থাকেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল বেলা অরিন খোরশেদুলকে কক্সবাজার যেতে বলে। খোরশেদ বাসায় কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ায় তার ভাই বাকলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
খোরশেদ চট্টগ্রাম থেকে সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌছে অরিনকে ফোন দিলে খোরশেদকে কলাতলীর মিসকাত হোটেলে অবস্থান নিতে বলে অরিন। এরপর রাতে অরিন একটি সিএনজি নিয়ে হোটেলের সামনে গিয়ে খোরশেদুলকে নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে নেয়ার কথা বলে গাড়ী তোলেন। এরপর কিছু দূর যাওয়ার পর সেটি থামিয়ে তিন জন লোক সিএনজিতে উঠে খোরশেদের চোখ বেঁধে ফেলে। অরিণ এসময় সিএনজি থেকে দ্রুত নেমে যায়।
পরে অপহরণকারীরা খোরশেদুকে চৌফলদন্ডি এলাকায় লবণের মাঠের একটি ঘরে আটক করে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ গত ৪ অক্টোবার রাতে কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে প্রথমে অপহরণকারী মামুন ও মোস্তাককে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে কক্সবাজার ঈদগাহ রোডের পার্শ্ববর্তী রাবার বাগান থেকে খোরশেদকে উদ্ধার করে। এসময় অন্য অপহরণকারী গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
. . . . . . . . .