জেএমবির ‘সামরিক প্রধান’ গ্রেনেড-গুলিসহ গ্রেপ্তার

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ণচট্টগ্রামে গ্রেনেড ও গুলিসহ জেএমবির পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন, এদের একজন নিষিদ্ধ দলটির সামরিক শাখার প্রধান বলে দাবি করেছে পুলিশ। কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর আজিমপাড়া এলাকার আইয়ুব বিবি সিটি করপোরেশন কলেজ রোড সংলগ্ন একটি বাড়িতে সোমবার বিকাল থেকে অভিযান চালিয়ে জেএমবি নেতাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার বলেন, ওই বাসা থেকে নয়টি হ্যান্ডগ্রেনেড, ১২০ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, ১০টি ছুরি ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঁচ তলার হাজী নুর আহম্মদ টাওয়ারের নিচতলার বাসায় এই অভিযান চলে। জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান মো. জাভেদ (২৬) বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। জাভেদের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এবং তিনি পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। সকালে গ্রেপ্তার দুজনের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযানে যায় পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল বলেন, “জাভেদ পুলিশকে লক্ষ করে গ্রেনেড ছোড়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তাকে ধরে ফেলা হয়। বাসার একটি কক্ষে তল্লাশি করে গ্রেনেড, পিস্তল, ছুরি, গুলি ও বোমার সরঞ্জাম পাওয়া যায়।”
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে এবং রাত সাড়ে ৯টায় তারা বাসার বাকি দুটি কক্ষ তল্লাশি করছিল।
পরিবার নিয়ে থাকবে বলে জাভেদ গত ১ অক্টোবর তিন কক্ষের বাসাটি ভাড়া নেয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের না এসে সহযোগীদের থাকতে দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে শুধু জাভেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় আগেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ঝিনাইদহের বাসিন্দা সুজন ওরফে বাবু (২৮), গোবিন্দগঞ্জ এলাকার ফুয়াদ (৩৩), নোয়াখালী জেলার মাহবুব (৩৭) ও কাজল (৪০)।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল বলেন, সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহবুব ও কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অক্সিজেন থেকে সুজন ও ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
. . . . . . . . .