আইএস সেজেছিল ময়মনসিংহের শিবির সদস্যরাই!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০১৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণসরকারকে বিব্রত করতেই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নাম ব্যবহার করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্কুল পড়ুয়া মোল্লা ফয়সালের (১৬) নেতৃত্বে ৩ জন গোপন প্রস্তুতি নেয়। তারা সকলেই জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের সদস্য।
প্রথমিক তদন্তে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার বিকেল, রাত ও শনিবার দুপুরে আইএস সদস্য সন্দেহে মোট ৯ জনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
শনিবার রাতে ডিবি পুলিশ এ বিষয়টি খোলাসা করে জানায়, আটককৃতরা কেউই আইএস সদস্য নয়। এ প্রসঙ্গে ডিবি’র ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মোল্লা ফয়সাল ওরফে ফাহিম আল ফয়সাল ইবনে মূসা বিন জুলকার নাইন (১৬) কয়েকজনকে নিয়ে গোপন সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
আর এ লক্ষ্যেই মোল্লা ফয়সাল প্রচারণার জন্য নীল কাগজে কালো কালিতে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ডাক’ শীর্ষক লিফলেট শুক্রবার বিকেলে লাগানোর চেষ্টা করছিল। এ সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক উপজেলার আঠারবাড়ি এলাকা থেকে মিজানুর রহমান (২৬) ও নতুন বাজার সুপার মার্কেটের নাবিল টেলিকম থেকে বদিউল হাসানকে (২৪) আটক করা হয়।
ওসি ইমারত জানান, বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আইএস’র অস্তিত্ব আছে এটা প্রমাণ করতে চেয়েছিল এ চক্র।
মোল্লা ফয়সালের কাছ থেকে এ সিক্স আকারের নীল কাগজে কালো কালিতে লেখা লিফলেটে বড় করে লেখা, ‘মধ্যপ্রাচ্যের ডাক’। নিচ দিয়ে বড় করে তার নাম লিখেছেন। সেখানে একটি ছড়া লিখেছেন এমন, ‘এসো মধ্যপ্রাচ্যে যাই/ইসরাঈল তাড়াই/থেকো না ঘরে বসে/ওরা ফিলিস্তিনিদের রক্ত নিলো চুষে/দুনিয়ার যত অন্যায়/ভাসিয়ে দাও বন্যায়/এসো ছুটে এসো/ইয়াহুদীবাদীদের নাশো।’
লিফলেটে প্রচারে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর কথা উল্লেখ রয়েছে। আর আর্থিক সাহায্যদাতার নাম কিং ফয়সাল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব ইসলামিক ব্রিগেড অব প্যালেস্টাইন। নিচে লিখেছেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
জানা যায় পারিবারিকভাবেই ফয়সাল শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত হয়। তাঁর নানা নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির শামসুদ্দিন আহমেদ। ৮৬ সালে তিনি জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।
তারা এসব আলাপ-আলোচনা করতো বলে জানান ডিবি’র ওসি ইমারত হোসেন গাজী।
সূত্র: বাংলানিউজ
. . . . . . . . .