জামিন হলো না, শাহাদাত জেলহাজতে

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০১৫, ৪:৫৩ অপরাহ্ণগৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত পেসার শাহাদাত হোসেনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শাহাদাত।
দুপরের দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ হোসেনের আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তা নাকচ করে শাহাদাতকে জেলহাজতে পাঠান।
ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু আসামিপক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
এদিকে শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী নিত্য শাহাদাতকে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মালিবাগে এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন নিত্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে। দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইউনুস খানের আদালতে ওই রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জিজ্ঞাসাবাদের ব্যপ্তিকাল সর্বোচ্চ তিনদিন হবে বলেও বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে।
রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট ফাহমিদা ও রাজধানী মানবাধিকার সংস্থার অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাজমুল হুদা। আসামিপক্ষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিনের জন্য শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
শুনানিকালে মামলার বাদী সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কালশী থেকে শাহাদাতের গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে (১১) উদ্ধার করে পুলিশ। হ্যাপি পুলিশের কাছে দেয়া তার জবানবন্দিতে শাহাদাত ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের কথা বলে। ওই রাতেই মিরপুর মডেল থানায় শাহাদাত দম্পতির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক।
হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার শরীরের অধিকাংশ স্থানে গুরুতর জখম ও ফুলে যাওয়ার চিহ্ন ছিল। আঘাতের চিহ্ন ছিল দু’চোখেও। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকার দাগ রয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর হ্যাপি ঢাকার সিএমএম আাদলতে তার উপর নির্যাতনের বর্ণনা দেয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিল গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক ও শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম। . . . . . . . . .