কুনিওকে হত্যার দায়ও স্বীকার করলো আইএস!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক:
জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যার দায়ও স্বীকার করলো জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি গ্রামে হোশি কুনিও (৫০) গুলি করে মুখোশধারি দৃর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। গুলি করার পর হত্যাকারীরা একটি মোটরবাইকে করে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
এআরগে গত সোমবার গুলশানে ইতালিয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার খুন হওয়ার পরও এর দায় স্বীকার করে মদ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি গ্রুপ আইএস।
আইএসের এক টুইটে ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে রাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
তবে বাংলাদেশে আইএসের অস্থিত্ব নেই জানিয়ে এসব হত্যাকাণ্ডে আইএসের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ ‘পাওয়া যায়নি’ বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে দুটি হত্যাকান্ডই একইসূত্রে গাঁথা বলে দাবি তার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জানান, দুটি হত্যাকান্ডের মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা – তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দুটি ঘটনাই একই উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। “প্রাথমিকভাবে যেটুকু বুঝতে পারছি – তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং বিদেশীদের কাছে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল বলে তুলে ধরার জন্য হয়তো এগুলো করা হচ্ছে।”
কুনিও খুনের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাওয়ালা মুন্নাফ হোসেন, কুনিওর ব্যবসায়িক পার্টনার মো. জাকারিয়াসহসহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানিয়েছেন, কুনিও গত ৩-৪ মাস যাবত রংপুর শহরে অবস্থান করছিলেন। তিনি একজন বাংলাদেশির ব্যক্তির সাথে যৌথভাবে আলুটারি এলাকায় উন্নত ধরনের জাপানি ঘাস চাষের একটি প্রকল্প চালাচ্ছিলেন। সেই খামারে যাওয়ার পথেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তিনটি মোটর সাইকেলে করে ৬ জন আরোহী এসে রিকশা থামিয়ে কুনিওর পথ রোধ করে। তারা সবাই হেলমেট পরা ছিল এবং হেলমেট রঙিন গ্লাস ছিল। আর যে জায়গাতে খুন করা হয় সেটি গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা। ঘাসের খামারটি সেই রাস্তা থেকে ১শ গজের মত দূরত্বে।
এর মাত্র ৫ দিন আগে গত সোমবার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকায় একজন ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। দুটো হত্যার ঘটনাতেই হামলাকারীরা মোটরসাইকেল আরোহী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
রংপুরের এই হত্যাকাণ্ডকারা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যাক্তির কাছ থেকে কোন মূল্যবান দ্রব্য খোয়া যায়নি।
এদিকে ৫দিনের ব্যবধানে দুজন বিদেশী নাগরিককে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। শনিবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার পেছনে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ি করা হয়।
একইদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে সিলেটে দলীয় নেতাদের বলেন, বিদেশী হত্যায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকান্ড দেশবিরোধী ষড়যেন্ত্রর অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
. . . . . . . . .