মন্দিরে গোমাংস : বোরখা পরা হিন্দু সদস্য হাতেনাতে ধরা

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণমন্দিরে গোমাংস খণ্ড ছুড়তে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে বোরখা পরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এক কর্মী।
ভারতের গরুর মাংস নিষিদ্ধ হওয়ার পর হিন্দু মন্দির চত্বরে গোমাংস ছুঁড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেয়ার ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটছে। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে এমন ঘটনা ঘটার পর পেছনের রহস্য উন্মোচন হলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মন্দিরের ভেতর মাংসখণ্ড ছুঁড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে বোরখা পরা এক ব্যক্তি। আবরণ উন্মোচনের পর পোশাকের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এক তরুণ। টুইটারে সেই ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়টুইটারে এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে খবরটি
টুইটে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কট্টর আরএসএস সমর্থক ও কর্মী। সংখ্যালঘুর বেশ ধরে হিন্দুদের পবিত্র স্থান কলুষিত করার চেষ্টার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আটক যুবককে নিয়ে আজমগড়ের রাস্তায় মিছিল বের করা হয় বলেও টুইটে বলা হয়েছে।
বাড়িতে গো-হত্যা করেছেন, এই মিথ্যা রটনার জেরে গত সোমবার রাতে গ্রেটার নয়দার দাদরিতে গণপিটুনিতে নিহত হন বিসরাখা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইকলাক (৫৮)।
তদন্তে জানা গেছে, স্থানীয় মন্দিরের ঘোষণার জেরেই ইকলাখের বাড়িতে চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। পুলিশের দাবি, জেরায় মন্দিরের পুরোহিত স্বীকার করেছেন যে তাকে ওই ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছিল দুই যুবক।
জানা যায়, গণপিটুনি ও তার জেরে হত্যার অভিযোগে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে গোমাংসের উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশের দাবি, খুনের পেছনে গো-হত্যার কারণ দর্শিয়েছিল মারমুখি জনতা। ঘটনায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এর মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে, মর্মান্তিক ঘটনার জেরে গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিহতের পরিবার। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামের আরও ৫০টি সংখ্যালঘু পরিবারও। তাদের দাবি, পুলিশি পাহারায় আপাতত এলাকা শান্ত থাকলেও প্রহরা তুলে নেয়ার পর অনিশ্চয়তার আতঙ্কে গ্রামে বসবাস করা সম্ভব হবে না।
এদিকে আজমগড়ের ঘটনা সূত্রে বিচ্ছিন্নতাকামী রাজনীতির পেছনে গেরুয়া শিবিরের (আরএসএস) সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণ মিলেছে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বোরখাধারী আরএসএস সমর্থক সংক্রান্ত পোস্টটি পরবর্তীতে মুছে দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি সত্যি হলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া অভিযোগের জেরে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর জন্য হিন্দু মৌলবাদীদের দিকে আঙুল ওঠা স্বাভাবিক।
. . . . . . . . .